প্রকাশিত: ১৮/০৮/২০১৫ ১০:১২ অপরাহ্ণ
৫শ’কোটি টাকার মেধাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্ক সাবাড় হচ্ছে

National Park
সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া মাদার ট্রি শতবর্ষী গর্জন বাগান এবং ন্যাশনাল পার্ক (জাতীয় উদ্যান) পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই বন খেকোরা সাবাড় করে ফেলছে। এ গর্জন বাগানকে ‘‘ন্যাশনাল পার্ক’’ ঘোষণার কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও বন দস্যূদের একের পর এক বেপরোয়া নিধন যজ্ঞে মাদার ট্রি (শতবর্শী) গর্জন বাগান সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার কোটি টাকার ন্যাশনাল পার্ক নিয়ে কোন পরিকল্পনা নিচ্ছেনা। পার্ক ঘোষণা ও সাইনবোর্ড লাগানোর পর এ পর্যন্ত কোটি টাকার ও বেশি মূল্যের মাদার ট্রি নিধন করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় ৫ শত কোটি টাকা মূল্যের ১০ হাজারের ও অধিক মাদার ট্রি রক্ষার জন্য আর্ন্তজাতিক এনজিও সংস্থা অরন্য ফাউন্ডেশন এবং ককসবাজার উত্তর বন বিভাগ আপ্রাণ চেষ্টা করলেও স্থানীয় বনখেকু,বনদস্যূ,বন ভক্ষক ও সরকারী বন বিভাগের বিশেষ করে মেধাকচ্ছপিয়া বন বিট কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও হেডম্যানদের সহযোগিতায় একের পর এক মাদার ট্রি সাবাড় হচ্ছে।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়,ককসবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন প্রায় ১ হাজার একর বন বিভাগের জমিতে ন্যাশনাল পার্ক বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। গত ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এই বন ভূমিকে ন্যাশনাল পার্ক হিসাবে ঘোষণা করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে স্থানীয় চোরাচালানী,সিন্ডিকেট,কাঠ চোর দফায় দফায় পার্কের বিভিন্ন বৃক্ষ নিধন করে আসছে। তারা এ কাজে ব্যবহার করছে স্থানীয় শ্রমিক,বার্মাইয়া নারী ও শিশুদের। প্রতিদিন ভোর ও সন্ধ্যায় এসব বার্মাইয়াদের দিয়ে গাছের গোড়া চেছে ফেলে এবং তাতে ঢেলে দেয় তুঁত। চেছে ও তুঁত দেওয়ার ফলে গাছে ডাল পালা পাতা শুকিয়ে যেতে শুরু করলে কাঠ চোরেরা গাছে উঠে ডালপালা কেটে ফেলে। পরে গাছের মৃত্যু নিশ্চিত হলে গোড়া থেকে করাত দিয়ে কেটে নেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা না থাকায় দিন দিন ন্যানশাল পার্কের বৃক্ষরাজী লুটপাট হচ্ছে। শুধু তাই নয় বন ভূমির ১ হাজার একরের মধ্যে প্রায় ৪শ একর বন ভূমি অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। বসতীদের মতে ১৯৯১ সালের পর এখানকার পাহাড় দখল করে অবৈধ বসতি স্থাপন করে উপকূল ও দ্বীপাঞ্চলের ঘূর্ণিবিধ্বস্ত লোকজন। সংশ্লিষ্ট মহল আন্তরিক হলে এ বাগান রক্ষা করা এবং ন্যানশাল পার্ক বাস্তবায়ন সফল ও সার্থক হবে বলে তারা মনে করেন।

মেধাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্ক সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাষ্টার আবুল হোসেন বলেন, প্রতিমাসে আমরা একটি ন্যাশনাল পার্ক রক্ষার সমন্বয় সভা করি। মূলত স্থানীয় কাঠ চোরদের ঠেকাতে আমাদের প্রচুর কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে । অন্যদিকে দক্ষ জনবলের অভাবে তা সঠিক ভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে তিনি দাবী করেন।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. শাহ ই আলম ন্যাশনাল পার্ক রক্ষায় সরকার ব্যাপক পরিসরে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত

  • ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
  • হিমায়িত মাংস ও দুধ খাওয়ার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা সপ্তাহ
  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক
  • বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন- সম্যক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • টেকনাফে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
  • কর্মক্ষেত্রে অনন্য কক্সবাজারের একমাত্র নারী ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন
  • টেকনাফে অর্ধডজন মামলার আসামি ডাকাত আবুল খায়েরসহ গ্রেপ্তার-২
  • ১৫ ঘন্টা পর ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • চকরিয়ায় থানার সামনে সাংবাদিকের উপর হামলা
  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক

    সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক

      আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: সাগরপথে টেকনাফের বাহারছড়ায় মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ...